Los Angeles Protest: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লস অ্যাঞ্জেলসে, রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা, হুমকি USA প্রেসিডেন্টের

অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ লস অ্যাঞ্জেলসে। ভাঙচুর, লুট, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে এই শহর। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নথিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল গার্ড নামিয়ে ধরপাকড় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

Advertisement
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লস অ্যাঞ্জেলসে, রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা, হুমকি USA প্রেসিডেন্টেরডোনাল্ড ট্রাম্প, লস অ্যাঞ্জেলসে প্রতিবাদ
হাইলাইটস
  • অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ লস অ্যাঞ্জেলসে
  • নথিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল গার্ড নামিয়ে ধরপাকড় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন
  • বিক্ষোভকারীদের 'মাড়িয়ে দেওয়ার' হুমকি ট্রাম্পের

উত্তাল আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে শহর জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নথিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাল্টা ন্যাশনাল গার্ড নামিয়ে ধরপাকড় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে লস অ্যাঞ্জেলেস। 

কী কারণে উত্তপ্ত লস অ্যাঞ্জেলস?
মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস সূত্রে খবর, লস অ্যাঞ্জেলস জুড়ে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)। এই অভিযান ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির অংশ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলস। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বৈধ নথি না থাকায় অভিযুক্ত অভিবাসীরা। 

ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে উত্তাল জনতা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিভিন্ন দোকানে চলে অবাধ লুটপাট। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনাতেই নিরস্ত্র জনতার উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস। 

কী বলছে ট্রাম্প প্রশাসন?
আগেই ট্রাম্প সরকার বার্তা দিয়েছে, আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে হবে নথিবিহীন অভিবাসীদের। তবে এ-ও বলা হয়েছে, কোনও অভিবাসী কর্মক্ষম এবং পারদর্শী হলে তাঁকে আবার সাদরে আমন্ত্রণ জানাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। তবে এখনই দেশ না ছাড়লে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই গত ১ জুন থেকে শুরু হয় অশান্তি। 

উল্লেখ্য, লস অ্যাঞ্জেলসেই সবথেকে বেশি অভিবাসীরা বসবাস করেন। ফলে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে সেই শহরেই। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে,যেখানে দেখা গিয়েছে, অভিবাসীরা বিভিন্ন দোকানে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছে। হাতে ‘ICE আউট অফ প্যারামাউন্ট’ প্ল্যাকার্ড। কারও হাতে মেক্সিকোর পতাকাও দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in।

Advertisement

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই সিদ্ধান্তকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন। পাল্টা ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘গভর্নর গ্যাভিন নিউস্কাম আর লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস যদি নিজেদের কাজ না করতে পারেন, তাহলে ফেডেরাল সরকার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। এই দাঙ্গা ও লুঠপাটের সমস্যার সঠিক সমাধানও করবে।’   

 

 

POST A COMMENT
Advertisement